
সবনাজ মোস্তারী স্মৃতি
প্রিয় হিমাদ্র,
আজ সকাল বেলা ঘুম ভাঙ্গার পর তোমাকে খুব মনে পড়ছিলো।জানো আজ তোমাকে স্বপ্নে দেখেছি। তোমার আমার কি সুন্দর কথা হচ্ছে। তুমি হাসি মুখে আমার সাথে কথা বলছো। ঘুম ভাঙ্গার পর মনে হচ্ছিলো কেনো এত তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙ্গে গেলো। আরো কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে থাকলে হয়তো তোমার সাথে আরো কিছুক্ষণ কথা হতো। হোক না স্বপ্নে তবুও তো কথা হত। তোমার হাসি মুখটা আমার সামনে আরো কিছুক্ষণ থাকতো। তবে তা হলো না।খুব তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙ্গে গেলো। নিজের উপর এখন খুব রাগ হচ্ছে জানো।
যখন তোমার সাথে আমার কথা বলতে ইচ্ছা করে তখন আমার মনে হয় আমি মরুভুমির মাঝে দাড়িঁয়ে আছি। কোথাও কোনো গাছ নাই। প্রতিদিন আমি শুতে যাবার আগে আমাদের বারান্দার গন্ধরাজ গাছটাকে তুমি ভেবে অনেক কথা বলি। বাতাসে যখন গাছের পাতাগুলো দোল খায় তখন আমার মনে হয় এই বুঝি তুমি হাসছো।
আচ্ছা হিমাদ্র তুমি কি বুঝছে পারো না আমি তোমাকে প্রতিটা মুহুর্ত মনে করি।আমি চাই প্রতিটা আড্ডায় তোমাকে নিয়ে গল্প হোক।সব খানে তোমাকে নিয়ে গল্প হোক। শহর নগর তোমার গল্পে মুখরিত হোক। তোমার আমার গল্পে গল্পে ছেয়ে যাক আমাদের নগরী। যেমনটা ছেয়ে যায় ব্যানার ফেসটুনে।
এই যে আমি তোমাকে প্রতিদিন চিঠি দিতাম এখন আর তুমি কোনো চিঠি পাও না তোমার কি চিঠি পেতে ইচ্ছে করে না ?জানি করে না ।তুমি তো আর আমার মত সেকেলে না। এই যুগে কেউ কারো চিঠির অপেক্ষা করে না । হয়তো আমি সেকেলে বলেই আজও তোমাকে পাগলের মত মনে করে যায়। চোরের মত ভালোবেসে যায় । অথচ তুমি জানো আমি সব সময় রানীর মত ভালোবেসে এসেছি।
খাঁচার পাখিগুলোকে যখন দেখি তখন মাঝে মাঝে মনে হয় কেউ তোমাকে আমাকে যদি এই ভাবে এক খাঁচায় বন্দী করে রাখতো । তবে হয়তো আমার প্রতি তোমার মায়া জন্মাতো। আমি সব সময় চেয়ে এসেছিলাম আমার প্রতি তোমার মায়ার জন্ম হোক।অথচ আমার প্রতি তোমার মায়ার জন্ম না হয়ে প্রেমের জন্ম হয়েছিলো।যে প্রেমে বিচ্ছেদ হয়। যে প্রেমে অনায়াসে ছেড়ে চলে যাওয়া যায়।
যেমন ভালো আছো তেমনি ভালো থেকো। আমাকে না হয় একটু মনে করো।সত্যি না হলেও মিছেমিছি মনে করো।
ইতি
‘ বিরক্তিকর হিমাদ্রী’
